র্যাম উৎপাদনে ওয়ালটনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের জন্য র্যানডম অ্যাকসেস মেমোরি (র্যাম) উৎপাদনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে ওয়ালটন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনএসই সম্মেলন কক্ষ হতে মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে এই র্যাম তৈরির কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওয়ালটন ডিজি-টেকের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ডিজি-টেকের পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিল্টন আহমেদ।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার ওয়ালটনকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত। ওয়ালটনের দায়িত্ব হবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তারা যেন প্রতিবছর অন্তত ১০ শতাংশ করে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য নেয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিদেশিদের বাজার হতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এখন ডিজিটাল ডিভাইজের উৎপাদকের দেশ হিসেবে পৃথিবীতে বাংলাদেশের নাম।
ডিজিটাল ডিভাইসের সরকারি কেনাকাটায় নানা শর্ত ও এসব শর্তের বেড়াজালে এখনো বিদেশি পণ্য কেনা হচ্ছে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, অন্যের বাজার হিসেবে আর নয় । ওয়ালটনের ল্যাপটপ নাইজেরিয়াতে রপ্তানি হয়েছে। অ্যামাজনের মাধ্যমে আমেরিকায় বিক্রি হচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য আইসিটি ডিভিশন থেকে ১৩ হাজার ল্যাপটপ কেনা হয়েছিল। দুই বছরে একটি ল্যাপটপও নষ্ট হয়নি। সেগুলো সুন্দরভাবে কাজ করছে। বিদেশি ল্যাপটপের চেয়ে ওয়ালটনের ল্যাপটপ মানে কোনোভাবে পিছিয়ে নেই।
এস এম রেজাউল আলম বলেন, দেশে সব কিছু বানাতে পারবে ওয়ালটন। আমরা শুধু উৎসাহ, উদ্দীপনা চাই।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন জানায়, তারা ২ হাজার ৪০০ ও ২ হাজার ৬০০ মেগাহার্জ ক্ষমতার র্যাম উৎপাদন করছে। এই ডিসেম্বরেই এসব র্যাম নিজেদের প্রযুক্তিপণ্যে বাজারে আসবে।
২০১৭ সালের অক্টোবরে দেশে প্রথম মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন কারখানার যাত্রা শুরু করে ওয়ালটন। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেশে প্রথম কম্পিউটার কারখানাও চালু করে দেশীয় এই কোম্পানিটি।