ইন্টারনেটে আমরা যে সার্ভিসই ব্যবহার করিনা কেন,তা সাধারনত পরিচালিত হয় একটি কেন্দ্রীয় অবস্হান থেকে,আর এই কেন্দ্রীয় অবস্হানটির নাম ডাটা সেন্টার । ডাটা সেন্টার হল ইন্টানেটের একেকটি নির্দিষ্ঠ স্টেশন। যেসব স্টেশন থেকে আমাদের কাছে ডাটা সার্ভ করা হয়। এখানে একেকটি ডাটাকে বিভিন্ন রূপ প্রদান করা হয়, ডাটাকে প্রোসেস করা হয়, কন্ট্রোল করা হয়, একটা নেটওয়ার্কেরর ভেতর দিয়ে নানা জায়গায় পরিবহন করানো হয়। একটি ডাটা সেন্টারের সবগুলো কম্পিউটার আবার যুক্ত থাকে একটি প্রধান কম্পিউটার এর সাথে।
ধরুন অনলাইনে ইউটিউবে কোনো ভিডিও দেখবেন,তো প্লে বোতাম চাপ দিলেন-তখন সেই কমান্ডটি আমাদের লোকাল আইএসপি থেকে ইন্টারন্যাশনাল আইএসপি এর মধ্য দিয়ে চলে গেল গুগলের ডাটা সেন্টারে, সেখান থেকে সেই রিকুয়েস্ট প্রোসেস হয়ে ভিডিওটির ডিজিটাল ডাটা আবার একই ভাবে আমাদের ডিভাইসে চলে আসে, এতে আমরা ভিডিওটি দেখতে সক্ষম হই – এটি ঘটে মাত্র মিলিসেকেন্ডের মধ্যে।
আসলে এটাই প্রযুক্তির সার্থকতা যে, ডাটা সেন্টার ও ডিভাইসের মধ্যে এই ডাটা অাদান-প্রদান ঘটে একদম মিলিসেকেন্ডের মধ্যে। যা সম্ভব করেছে একটি নেটওয়ার্ক ,তার নামই হল ইন্টারনেট। আজ কথা বলব কেবল এই ডাটা সেন্টার নিয়ে। আর এই ডাটা সেন্টারই হল ইন্টারনেটের ইঞ্জিন, এই ডাটা সেন্টারই হল ইন্টারনেটের প্রান এবং মূল চালক। ডাটা সেন্টার নেই তো ইন্টারনেট নেই।
আমরা গুগলের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করি ইউটিউব, জিমেইল,গুগল সার্চ এসবের জন্য কাজ করছে গুগলের ডাটা সেন্টার। আবার মাইক্রোসফটের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করছি এজন্য কাজ করছে মাইক্রোসফটের ডাটা সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয় এর ভর্তি ফর্ম তাদের ওয়েবসাইটের পূরন করে সাবমিট করছেন, এখানেও সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটা সেন্টার কাজ করছে। আবার বাংলাদেশে যতগুলো ব্যাংক রয়েছে তাদের সবার ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার ও ট্রানজিকশন এর জন্য ছোট-বড় নিজস্ব ডাটা সেন্টার রয়েছে । বাংলাদেশ সরকার এর যত গুলো গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট রয়েছে ,তা সরকার এর নিজস্ব ডাটা সেন্টার এর অপর চলে ।
ডাটা সেন্টার হল একটা ইনফাস্ট্রাকচার বা পরিকাঠামো। এই পরিকাঠামোটি গঠিত শক্তিসালী কম্পিউটার তথা সার্ভার এর সমষ্ঠি নিয়ে। এখানে অনেকগুলো সার্ভার নেটওয়ার্ক থেকে পাওয়া ডাটা গ্রহন করে, তা প্রোসেস করে, কন্ট্রোল করে তা আবার গ্রাহক পর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়,মাঝখানে এই পাঠানোর কাজ আবার ডাটা গ্রহন করে নিয়ে আসার কাজ করে ইন্টারনেট। ডাটা সেন্টারগুলি এই একই কাজই দিনরাত সবসময় করে থাকে। ডাটা সেন্টার এর চিত্র হয় সাধারনত এইরকম- বিশাল একটা রুমে বা বিল্ডিং এ যেহেতু অনেকগুলো সার্ভার থাকে, তাই এগুলো বড় বড় রেফ্রিজারেটর আকৃতির র্যাকে উপরনিচ সাজানো থাকে। এখানে প্রত্যেকটি সার্ভার একই নেটওয়ার্কের সাথে পরস্পর যুক্ত থাকে। সার্ভারগুলো খুবই উচ্চ স্পেসিফিকেশন সম্পন্ন হয়। এসব ডাটা সেন্টারে একেকটি সার্ভার সমন্বিত ভাবে সকল কাজ হ্যান্ডেল করে, গ্রাহক পর্যায় থেকে ডাটা সংগ্রহ তা প্রোসেস করে একটি বোধগম্য ডাটা হয়ে গ্রাহক পর্যায়ে পৌছে দেয়া, সব দায়িত্ব ডাটা সেন্টারের ওপর।
এসব ডাটা সেন্টারের একক বলতে পারি সার্ভার। যেমন জীবদেহের একক কোষ, তেমনই ডাটা সেন্টারের একক সার্ভার। এসব ডাটা সেন্টারের একেকটি সার্ভার তাদের কোম্পানির ইনস্টল করে দেয়া বিশেষায়িত সফটওয়্যার এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। দেখা যায় যে, অনেক সময় তিনটি-চারটি র্যাকের প্রায় ৪০-৫০ সার্ভার একসাথে মিলে একি সফটওয়্যার বা অলগরিদম এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করছে। ধরলাম গুগলের কথা, আপনি গুগলে নানা কারনেই সার্চ বা অনুসন্ধান করেন, দেখা যাচ্ছে যে, গুগলে ব্যবহারকারীদের নানা সার্চকে প্রোসেস ও ফল প্রদানের জন্য একসাথে কাজ করছে প্রায় ১০০০ সার্ভার। আবার জিমেইলের মেইল ব্যবস্হা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে একইসাথে সমন্বিতভাবে ১৫০০ সার্ভার। আপনি একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, সেই ওয়েবসাইটের ভিতরকার সকল ছোটখাট টুলস বা বড় টুলস, সেই ওয়েবসাইটের ডিজাইন,দর্শক যে ওয়েবসাইট ভিজিট করছে সে জন্য ব্যান্ডউইথ খরচ সবই নিয়ন্ত্রিত হয় ডাটা সেন্টার থেকে। এসব ডাটা সেন্টারের সার্ভারকে খুবই জটিল জটিল অলগরিদমে প্রোগ্রাম করা, এসব অলগরিদম এখন আবার অন্য পর্যায়ে চলে গিয়েছে। অগমেন্টেট রিয়েলিটির ব্যবহার এসব অলগরিদমে প্রবেশ করার ফলে, ডাটা সেন্টারের সার্ভারগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে অনলাইনের নানা সেবাগ্রহনকারীকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। যাই হোক,এটা কেবল মনে রাখুন সার্ভারগুলো চলে অলগরিদম এর ওপর। যেমনঃ গুগল সার্চের জন্য গুগল স্পেশাল গুগল সার্চ অলগরিদম ব্যবহার করে যা আর কেউ জানে না।
আধুনিক ডাটা সেন্টারগুলোতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা হল ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম । এখানে কোনো ডাটা কোনো সিঙ্গেল মেশিন তথা সার্ভারে জমা থাকে না। এখানে ডাটাগুলো সমস্ত ডাটা সেন্টার এর স্টোরেজ এর কোনো এক জায়গায় থাকে। আর তাই এখানে ডাটা সেন্টারে একটি সার্ভার নষ্ট হলেও ব্যবহারকারীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয় না। তবে যদি ডাটা কেবল একটি পিসিক্যাল সার্ভারের স্টোরেজ ড্রাইভে জমা থাকত, তবে নিশ্চয়ই এখানে সার্ভারটি নষ্ট হলে ডাটা হারানোর ভয় থাকত।
এখন বিভিন্ন কোম্পানির ওপর নির্ভর করে তারা তাদের ডাটা সেন্টার দিয়ে আসলে কি করবে। কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের ডাটা সেন্টার নিয়ে মূলত ওয়েব হোস্টিং, ভার্চুয়াল সার্ভার তথা ভিপিএস বিক্রির কাজ করতে চায় এবং তারা তাদের ডাটা সেন্টারকে এবং সার্ভারের অলগরিদম বা সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেমগুলিকে সেইভাবে সাজায়। উদাহরন হিসেবে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়েনসার্ভারে জায়গা দরকার আর আপনার যদি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তবে আপনিও টাকা দিয়ে ডাটা সেন্টারের ব্যবহার করতে পারবেন।
Movie, Nation, Web Series BDIX নিচের লিংক গুলো ভিজিট করে মুভি নাটক সফটওয়ার ডাউনলোড করতে…
The Dollar Buy Sell Exchange PHP Script from Tibroit is designed to help developers create their own…
ChangaLab v2.2 – Currency Exchange Platform PHP Script Free Download. Change Lab is a Complete…
SMMCrowd v1.5 – Marketplace of SMM Services PHP Script Free Download. SMMCrowd is an Innovative…
SMMLab v2.0 Nulled – Social Media Marketing SMM Platform PHP Script Free Download. SMMLab is…
SMM Matrix v3.2 is a social media marketing tool. This software includes almost everything for you…
কিছু বিষয় মাথায় রাখলে একাধিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা সহজ।হাইলাইটস* বিলিং সাইকেল মাথায় রাখুন।* একটি…
ShareTrip Co-branded Master Titanium card এর মাধ্যমে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সংক্রান্ত কিছু কনফিউশন এবং তার সমাধান!…
This website uses cookies.