রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাংলালিংক-টেলিটকে থ্রিজি-ফোরজি
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা বন্ধ রাখা হলেও দুই অপারেটরে এমন সংযোগ মিলছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি কারিগরি প্রতিনিধি দল টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনা করে।
এ সময় প্রতিনিধি দল দেখতে পায় গ্রাহক বিচারে তৃতীয় অপারেটর বাংলালিংক এবং একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকে থ্রিজি-ফোরজি সেবা মিলছে।
ড্রাইভ টেস্টের সময় বাংলালিংক ও টেলিটকের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় বিটিআরসি’র প্রতিনিধি দল দুই অপারেটরকে মোবাইল ইন্টারনেটের এই সেবা দুটি বন্ধ করতে বলে। অপারেটর দুটি ওই সময় তা বন্ধ করে দেয় বলেও জানিয়েছে সূত্র।
এর আগে প্রথম দফায় গত ১ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি রোহিঙ্গা এলাকায় দিনে ১৩ ঘণ্টা থ্রিজি ও ফোরজি বন্ধ রাখে। পরদিন এই মেয়াদ বাড়িয়ে পাকাপাকিভাবে থ্রিজি ও ফোরজি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনার পর একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। ইতিমধ্যে কমিটির ওই প্রতিবেদন কমিশনে জমা পড়েছে।
আগামী সপ্তাহে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিটিআরসি প্রতিনিধি দল ক্যাম্প এলাকায় আনুমানিক তিন লাখ মোবাইল সংযোগ চালু রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
ইতিমধ্যে অপারেটরদের কাছ থেকে এসব সিম কার তথ্যের বিপরীতে নিবন্ধিত রয়েছে তা জানতে অপারেটরদের সহযোগিতা চেয়েছে বিটিআরসি।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে এবং তাদের অধিকাংশের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে।
প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল, এদের প্রায় সবাই যেহেতু মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে সে কারণে সিমের সংখ্যা সাত-আট লাখ হতে পারে।
এই সিমগুলো দিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করতো। একই সঙ্গে তারা নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে যেখানেও তারা যোগাযোগের নানা অ্যাপ ব্যবহার করছিল।
ভাই ।ধন্যবাদ সংবাদ টি দেওয়ার জন্য। আমি মূলত দেশের বাহিরে থাকি তাই দেশের কোনো খবর জানি না। মাঝে মাঝে আপনাদের সাইটে আসি ভিজিট করতে। ভালো লাগে তাই।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।