আসুস’র সাশ্রয়ী দামে গেইমিং ল্যাপটপ ভিভোবুক এস১৫
সাশ্রয়ী বাজেটের মধ্যে অনেকেই গেইমিং ল্যাপটপ কিনতে চান। কিন্তু মোটামোটি ভালোমানের গেইমিং ল্যাপটপ কিনতে গেলে গুনতে হবে লাখ টাকা। তাহলে যাদের বাজেট কম, কিন্তু কম দামে একটি গেইমিং ডিভাইস কিনতে চান তাদের কি হবে?
তাদের জন্য বাজারে বাজেটের মধ্যে বাজারে বেশ কিছু গেইমিং ল্যাপটপ আছে। যা দিয়ে মোটামোটি সব গেইম খেলা যাবে। তেমনি একটি ল্যাপটপ হল আসুস ভিভোবুক এস১৫ এস৫৩০ইউএফ। যারা ৫০-৬০ হাজার টাকার মধ্যে একটি গেইমিং ল্যাপটপ কিনতে চান তাদের জন্য চমৎকার একটি ডিভাইস হতে পারে এটি।
এক নজরে ল্যাপটপটি সম্পর্কে:
- ১৫.৬ ইঞ্চি, ফুল এইচডি (১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেল রেজুলেশন)।
- অষ্টম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫ ৮২৫০ইউ ১.৮ গিগাহার্টজ প্রসেসর। বুস্ট করা যাবে ৩.৪ গিগাহার্টজে।
- গ্রাফিক্সের জন্য রয়েছে এনভিডিয়া জিফোরস এমএক্স১৩০ ২ গিগাবাইট জিডিডিআর৫ ভিডিও র্যাম।
- ৮ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম
- ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক
ডিজাইন:
ল্যাপটপটির ডিজাইন প্রথম দেখায় সে কারোই নজর কাটবে। দেখতে বেশ হালকা পাতলা মনে হয় ডিভাইসটি। ডিসপ্লের পেছনে মেটাল ফিনিশিং দেয়া রয়েছে। পুরো ল্যাপটপটিতে হাই কোয়ালটির পাস্টিক দেয়া রয়েছে। পূর্বের সংস্করণ থেকে এই ল্যাপটপটি বেশ শক্তপোক্ত।
ল্যাপটপটির বাম দিকে আছে দুইটি মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। ডান দিকে রয়েছে চার্জিং পোর্ট, ইউএসবি পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট, টাইপ সি এবং ৩.৫ হেডফোন জ্যাক। সারাউন্ডিং সাউন্ড পদ্ধতি থাকায় ল্যাপটপটি দিয়ে ভালো অডিও সুবিধা পাওয়া যাবে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ব্যাকলাইট কিবোর্ড। ফলে রাতের অন্ধকার কাজ করতে কোন অসুবিধা হবে না। টাচ প্যাডটি মোটামোটি বড়। এতে একত্রে চারটি আঙ্গুলের জেসচার ফিচার সাপোর্ট করবে। এছাড়া টাচপ্যাডে রয়েছে ফিঙ্গরপ্রিন্ট সেন্সর। যা বেশ গতিময় এবং দ্রুত কাজ করে।
ডিসপ্লের চারপাশে বেজেল কম থাকায় তা দেখতে সুন্দর লাগে। এতে রয়েছে এইচডি ওয়েবক্যাম সুবিধা। ল্যাপটপটি দৈর্ঘ্য ৩৬.১৪ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ২৪.৩৫ সেন্টিমিটার। পুরুত্বে ১.৮ সেন্টিমিটার। ১.৮ কেজি ওজন। ল্যাপটপটির ব্যবহারের সময় যেন গরম কম হয় সেজন্য বাতাস চলাচলের জন্য পর্যন্ত ব্যবস্থা রয়েছে এতে।
ডিসপ্লে :
ফুল এইচডি ডিসপ্লে প্যানেলে বাজেটে ল্যাপটপ হিসেবে বেশ চমকপ্রদ ফিচার। ডিভাইসটির ডিসপ্লে কালার, কন্ট্রাস্ট ও ব্রাইটনেস ভালো। যে কোন এঙ্গেল ভালো ভিউ সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া ডিসপ্লে বেজেল কম থাকায় মুভি বা গেইম খেলতে তেমন কোন অসুবিধা হয় না ডিভাইসটি নিয়ে। মাঝে মাঝে কিছু রঙে ফ্যাকাস মনে হতে পারে ভিডিও দেখার সময়। তবে তা বড় কোন ইস্যু নয়। আউটডোর কাজ করতে কোন অসুবিধা হয়নি এটি নিয়ে।
পারফরমেন্স:
ল্যাপটপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অষ্টম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫ ৮২৫০ইউ ১.৮ গিগাহার্টজ প্রসেসর। ১.৮ গিগাহার্জ গতির প্রসেসরটি মূলত দৈনন্দিন কাজের জন্য তৈরি করা। এতে ফটো ও ভিডিও এডিটিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য মিলবে। ডিভাইসটির সাহায্যে ভারি গ্রাফিক্সের কাজে তেমন বেগ পেতে হবে না। তবে যদি খুব ভারি কোন কাজ হয় সেক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হতে পারে। ভিডিও এডিটের কাজ ল্যাপটপটি ভাল ভাবেই সামলে নিতে পারবে। গেইমিং ক্ষেত্রে বলা যায় মোটামোটি ভালো পারফরমেন্স দিবে ডিভাইসটি। পাবজি, সিএসগো মিডিয়াম গ্রাফিক্সে খেলতে তেমন কোন অসুবিধা হয়নি।
ব্যাটারি:
ব্যাটারি সুবিধা দিতে ডিভাইসটিতে রয়েছে তিন সেলের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকায় বেশ দ্রুত চার্জ হবে ডিভাইসটি। ওয়েব ব্রাউজ করলে ৭-৮ ঘন্টার মত ব্যাকআপ সুবিধা দিবে ল্যাপটপটি। মুভি বা ভিডিও দেখলে ৩-৪ ঘন্টা ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। নেই তেমন হিসিং ইস্যু।
দাম:
ডিভাইসটির মূল্য ৬২ হাজার ৫০০ টাকা।