ইউটিউবেই কেনাকাটা করা যাবে
ইউটিউবে শিগগিরই হয়তো পণ্য কেনাকাটার সুবিধা চালু হবে। অন্যভাবে বললে, ইউটিউবকে হয়তো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পরিণত করবে মূল প্রতিষ্ঠান গুগল। ভিডিওতে কোনো পণ্য দেখলেন, দেখা যাবে পাশাপাশি সেই পণ্য কেনার অপশনও দেখানো হচ্ছে।
আমাজন বা বাইরের কোনো ওয়েবসাইট থেকে নয়, বরং ইউটিউব থেকে সরাসরি পণ্য কেনা যাবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি ইউটিউবের এ উদ্যোগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। এদিকে ইউটিউবে পণ্য বিক্রি করার জন্য আরেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম শপিফাইয়ের সঙ্গেও কাজ করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
ইউটিউবের এক মুখপাত্র ব্লুমবার্গকে ইউটিউবের উদ্যোগের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। তবে জানিয়েছেন, আপাতত সীমিতসংখ্যক ভিডিও চ্যানেল নিয়ে সুবিধাটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
ভিডিও নির্মাতারা যদি ভিডিওতে কোনো পণ্য দেখান, তবে ভিডিও আপলোড করার সময় সে পণ্যের উল্লেখ করার অনুরোধ জানিয়েছে ইউটিউব। এই তথ্যগুলো পরে গুগলের কেনাকাটার সুবিধার উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো ইউটিউবের ভিডিওগুলোকে একরকম ক্যাটালগ বা পণ্যতালিকায় পরিণত করা।
এতে ইউটিউব হয়তো বিজ্ঞাপনী প্ল্যাটফর্ম থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। মানে তাদের আয়ের মূল উৎস হবে ই-কমার্স সেবা। যুক্তরাষ্ট্রের আমাজন বা চীনের আলিবাবা যেমনটা করে থাকে, অনেকটা তেমনই।
ই-কমার্স থেকে ইউটিউব কীভাবে আয় করবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ভিডিও শেয়ার করার ওয়েবসাইটটি এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশে ভিডিও নির্মাতাদের সাবস্ক্রিপশন-নির্ভর ভিডিও শেয়ার করার সুবিধা দিয়েছে। যেখান থেকে আয়ের ৩০ শতাংশ রেখে দেয় ইউটিউব।
করোনা মহামারির প্রভাবে ভ্রমণ ও পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো গুগলে তুলনামূলক বিজ্ঞাপন কম দিচ্ছে। অন্যদিকে এ সময়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা ভালো ছিল। তা ছাড়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ই-কমার্সের জন্য নতুন নতুন সুবিধা আনতে থাকলেও গুগলের চুপচাপ তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। এবার হয়তো সে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
দীর্ঘদিন ধরেই গুগলের নির্বাহীরা ইউটিউবে ই-কমার্স সুবিধা সংযোজনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন। গুগলের এক আয়োজনে সম্প্রতি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই বলেছিলেন, ইউটিউবের হাজার হাজার আনবক্সিং ভিডিওগুলোতে হয়তো শিগগিরই কেনাকাটার সুবিধা যুক্ত হবে। এর সঙ্গে মেকআপ ও রান্নার টিউটোরিয়ালের মতো ভিডিওগুলো বিবেচনায় নিলে গুগলের জন্য বেশ সম্ভাবনাময় একটি খাত না বলে উপায় নেই।