EBL ShareTrip Co-branded Master Titanium card
ShareTrip Co-branded Master Titanium card এর মাধ্যমে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সংক্রান্ত কিছু কনফিউশন এবং তার সমাধান!
এই কার্ডটি মাস্টার নেটওয়ার্ক এর একটি ক্রেডিট কার্ড, যেটা “Lounge-key” হিসেবে কাজ করে এবং এই কার্ডের ব্যবহারকারী ৬ টি কমপ্লিমেন্টারি লাউঞ্জ পেয়ে থাকেন।
১ম কনফিউশন: যেহেতু ৬টি কমপ্লিমেন্টারি লাউঞ্জ আছে সুতরাং ঢাকা এয়ারপোর্টে যেসব লাউঞ্জ “Lounge-key” একসেপ্ট করে তাদের লাউঞ্জে এক্সেস নেয়া যাবে কিনা?
সমাধান: আমি MTB’র ডোমেস্টিক লাউঞ্জে ব্যবহার করেছি, কোন প্যারা ছাড়াই।
২য় কনফিউশন: লাউঞ্জ ব্যবহার করার জন্য ডলার এনডোর্স করা লাগবে কিনা?
সমাধান: এটা বাধ্যতামূলক। অবশ্যই লাগবে। কারণ ৩.২৫ USD এর একটা ট্রানজেকশন swipe করবে। সুতরাং ডলার এনডোর্স এবং ফরেন গেটওয়ে ওপেন না থাকলে ট্রানজেকশন সাকসেসফুল হবে না। ( এই টাকাটা পরবর্তী ১/২ মাস পরে অটো রিভার্স হয়ে যাবে, আমার ক্ষেত্রে প্রায় দেড় মাস সময় লেগেছিল। এই সময় টুকু এই ডলার টুকু হোল্ড হয়ে থাকে)।
৩য় কনফিউশন: ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ এর জন্য কি আলাদা প্রায়োরিটি পাস লাগবে কিনা?
সমাধান: কিছুই লাগবে না। লাউঞ্জে ঢুকে কাউন্টারে/ রিসিপশনে এই কার্ডটা শো করলেই হবে এবং বলতে হবে আপনি “Lounge-key” মাধ্যমে এক্সেস নিতে চাচ্ছেন।
৪র্থ কনফিউশন: একসাথে কয়জন access নিতে পারবে?
সমাধান: ৬ টা Head count করে।
৫ম কনফিউশন: EBL এর তো ঢাকা এয়ারপোর্টে ডমেস্টিক কোন লাউঞ্জ নাই, সেই ক্ষেত্রে অন্য ব্যাংক যেমন MTB বা UCB এর লাউঞ্জে ব্যবহার করা যাবে?
সমাধান: কোন একটা কারণে UCB এর লাউঞ্জে ডেকলাইন হচ্ছিল। কিন্তু কোনো ইস্যু ছাড়া একবারেই MTB তে হয়ে গিয়েছিল।
৬ম কনফিউশন: বুঝবো কিভাবে ওয়ার্ল্ডের কোন কোন এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে?
সমাধান: “Lounge-key” এর ওয়েবসাইট অথবা app নামিয়ে আপনার প্রোফাইল ক্রিয়েট করে এই কার্ডটি সহজেই যুক্ত করতে পারবেন, তারপরে সার্চ করে আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।
৭ম কনফিউশন: ৬ টা কমপ্লিমেন্টারি এক্সেস শেষ হয়ে গেলে তারপর কি করব?
সমাধান: পরবর্তীতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সেই ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জে vat সহ ৩২ ডলার চার্জ পরবে।
৮ম কনফিউশন: এই ৬টা কমপ্লিমেন্টারি কবে বা কিভাবে আবার রিনিউ হবে?
সমাধান: কল সেন্টার এর তথ্য মতে প্রতিবছর ক্যালেন্ডার year এর পরে এটা অটো রিনিউ হবে অর্থাৎ এক জানুয়ারি আবার অটোমেটিক রিনিউ হয়ে যাবে।
বি: দ্র: আমি আসলে কনফিউজড ছিলাম যে এটা অন্য ব্যাংকের domestic লাউঞ্জে ব্যবহার করা যাবে কিনা যেহেতু EBL এর তো ঢাকা এয়ারপোর্টে ডমেস্টিক কোন লাউঞ্জ নাই, কিন্তু কেউ আমাকে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারছিল না এবং কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলে তারাও কনফিউসড, একেকবার একেক জন একেক কথা বলছিল। এই প্রোডাক্টটি যেহেতু নতুন, আমাকে যিনি করে দিয়েছেন তিনিও আমাকে কোন সিওর হয়ে কোনো তথ্য দিতে পারছিলেন না। সুতরাং আমি চিন্তা করলাম যেহেতু এখন অনেকে এই কার্ডটি নিচ্ছেন এবং ব্যবহার করছেন, এই পোস্ট থেকে তাদের কনফিউশন কিছুটা হলেও ক্লিয়ার হবে।
ইন্টারনেট থেক সংগৃহিত